আজ (২১ জুলাই ২০২৫) দুপুরে ঢাকার উত্তরা-র মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ-এ সংঘটিত বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হলো।
ঘটনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ
আজ দুপুর ১টা ৬ মিনিটে প্রাথমিক অবস্থায় জানাগেছে যে বাংলাদশ বাহিনীর F‑7 একটি প্রশিক্ষণ বিমান BGI এই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরা দিয়ে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয় বলে জানানো হয়েছে।
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার স্থান ও সময়
স্থান: বাংলাদেশ ঢাকা, উত্তরার Diabari (মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস)
সময়: ২১ জুলাই ২০২৫, দুপুর ১টা ০৬ মিনিট
হতাহতের তথ্য
নিহত: অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম
আহত: প্রাথমিকভাবে জানা যায় কমপক্ষে ৪ জন গুরুতর আহত, মোট আহতের সংখ্যা হতে পারে ১৩ জন
উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ অভিযান
ফায়ার সার্ভিসের ৩–৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কাজ শুরু করে
সেনাবাহিনী, বিজিবি ও সেনা‑বংশাল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়
আহতদের মধ্যে অনেকেই পোড়া শরীর নিয়ে উদ্ধার হয়েছে; তাঁদের রাজধানীর বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে
দৃশ্যমান ভিডিও
উদ্ধারকাজ ও আগুন জ্বলতে শুরু করার সময় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কোণ থেকে দৃশ্য ফুটেজে ধোঁয়ার কুন্ডলী ও ফায়ার সার্ভিসের পাখনা‑বিমান অবতরণ দেখা গেছে:
বিমানের ও পাইলটের অবস্থা
দুর্ঘটনাস্থল থেকে জানা গেছে, বিমানে স্কোয়াড্রন লিডার Md Towkir Islam ছিলেন; তাঁর নিরাপত্তা বা আহত অবস্থার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি
এতে স্পষ্ট যে, পাইলট বিমানে ছিলেন এবং জঘন্য দুর্ঘটনায় বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারানোর সময় হয়তো তারা ইজেক্ট করতে সক্ষম হননি।
অনুসন্ধান ও কারণ অনুসন্ধান
দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও অনুসন্ধানাধীন; আইএসপিআর ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
প্রাথমিক অনুমান: যান্ত্রিক ত্রুটি বা ইঞ্জিন ফেইলিউর– তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা রাখতে হবে।
প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
স্কুল‑ছাত্রদের প্রতি প্রভাব: ক্লাস চলাকালীন এফ-৭ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়; অনেকেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে
সামাজিক প্রতিক্রিয়া: জাতীয় পর্যায়ে গোষ্ঠী, রাজনৈতিক দল ও নাগরিকরা আহত ও নিহতদের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছে; কর্তৃপক্ষের প্রতি তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান তোলা হয়েছে।
উপসংহার
উত্তরা‑র কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এই দুর্ঘটনা খুবই নাজুক। এতে একজন নিহত, বেশ কয়েকজন আহত; স্কুল‑ছাত্রদের মানসিক প্রভাব ও ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে একই রকম দূর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত সুচিকিৎসা দিয়ে আশ্রয় ও মনোযোগ দিতে হবে।